Friday 23 August 2013

দরকারি কিছু এসইও এনালাইসিস টুলস

দরকারি কিছু এসইও এনালাইসিস টুলসঃ

সমীক্ষায় দেখা গেছে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের ১২% ই এসইও রিলেটেড কাজ করেন,তাছাড়া নতুন অনেকেই কাজ করা শুরু করছেন। এসইও নিয়ে কাজ করার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনার নিজস্ব ফিল্ডে নিয়মিত আপ টু ডেট থাকা, এসইও এনালাইসিস টুলসগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে অবগত থাকা। এসইও তে ভালো করতে হলে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত বিভিন্ন এসইও ব্লগ এবং ফোরাম গুলোতে ভিজিট করতে হবে, জানতে হবে বিভিন্ন টুলস এর ব্যবহার।

তাই, আজ আপনাদের সাথে দশটি এসইও এনালাইসিস টুলস শেয়ার করবো, আশা করি এটি আপনার এসইও ক্যারিয়ার ফিল্ডকে আরো শক্তিশালী করবে, যে কোন কঠিন মূহুর্তেও চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগুতে সাহায্য করবে।

১. ওর্যাওঙ্কঃ প্রিমিয়ায় একাউন্ট ছাড়াই ইন্সট্যান্ট ওয়েবসাইট রিভিউ দেয়, এমন একটি টুল হল ওর্যা ঙ্ক। অবশ্য প্রিমিয়াম একাউন্ট ছাড়া আপনি প্রতি সপ্তাহে একটি মাত্র রিপোর্ট জেনারেট করতে পারবেন কিন্তু আপনি আগের জেনারেট করা রিপোর্টগুলোও দেখতে পারবেন। তাছাড়া এই টুলটি সাত দিনের আনলিমিটেড ফ্রী ট্রায়াল অফার করছে, এই সাত দিনেআনলিমিটেড রিভিউ জেনারেট করতে পারবেন।
http://www.woorank.com/

২. হাবস্পটস মার্কেটিং গ্রেডারঃ
এই লিষ্টের অন্যান্য এসইও এনালাইসিস টুলের মতই হাবস্পটস মার্কেটিং গ্রেডার আপনার কোম্পানির মার্কেটিং ইফোর্টের উপর ফোকাস করে।
http://marketing.grader.com/

৩. সাইটট্রেইলঃ এটি একটি ফ্রি “অল ইন ওয়ান” ওয়েবসাইট এনালাইসিস টুল।
http://www.sitetrail.com/analysis/

৪. ট্রাফিক ট্রাভিসঃ এটি একটি ডেক্সটপ এপ্লিকেশন। আপনার সাইটের অন পেজ এসইও এনালাইজ করতেও সহায়তা করবে।
http://www.traffictravis.com/

৫. এসইও ওয়ার্কারসঃ http://www.seoworkers.com/tools/analyzer.html

৬. লিপারিঃ অন্যান্য এসইও টুলসগুলোর মত এত জনপ্রিয় না হলেও এনালাইসিসে এটা বেশ পাকা একটা টুল। http://www.lipperhey.com/

৭. স্পাইডারমেটঃ এদের সবচেয়ে দরকারি দুটো এনালাইসিস টুল হল “স্কোরকার্ড” এবং “অডিটর”।
https://spydermate.com/

৮. ডাইএসইওঃ ফ্রি ওয়েবসাইট গ্রেডার অফার করে।
http://www.diyseo.com/free-tools/seo-report-card

৯. এসইওঅপটাইমারঃ আপনার দেয়া সাইট ইউআরএল এর অন পেজ এসইও র্যা ঙ্কিং ফ্যাক্টর গুলো খুজতে সহায়তা করে।
http://www.seoptimer.com/

১০. ফ্রী এসইও এনালাইসিসঃ এসইও অডিট এ আমরা যে ইনফরমেশন দিয়ে থাকি, এই ফ্রী এসইও এনালাইসিস টুলটি তার একটি ছোট্ট সাবসেট প্রদান করে থাকে।
http://www.webgnomes.org/free-seo-analysis/


আশা করি, এই টুলসগুলোর সঠিক ব্যবহার আপনার এসইও ক্যারিয়ারকে আরও দক্ষ করে তুলবে।

ভাল লাগলে শেয়ার করে বন্ধুদেরকে জানিয়ে দেবার অনুরোধ রইল।।

Thursday 22 August 2013

লোগো ডিজাইনে দশটি কার্যকর টিপস

লোগো ডিজাইনে দশটি কার্যকর টিপসঃ (২য় পর্ব)

লোগো!!! কোন ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্টানের একটি গুরূত্বপূর্ণ পার্ট।

সেই লোগো ডিজাইন এর প্রাথমিক এবং কার্যকর পাচটি টিপস নিয়েই প্রথম পর্ব আলোচনা করেছিলাম, আজ বাকি পাচটি টিপস নিয়ে আলোচনা করব। যারা প্রথম পার্টটি মিস করেছেন তাদের জন্য প্রথম পার্টের লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/photo.php?fbid=409013909210410&set=a.279753568803112.56782.277940875651048&type=1&relevant_count=1

আশা করি পরামর্শগুলো লোগো ডিজাইন ক্যারিয়ারে আপনাদের সহায়ক হবে।

৬। ফন্টের ব্যবহারে সতর্ক হোনঃ

মাঝে মাঝে ক্লাইন্ট আপনাকে ইউনিক শেপ কিংবা সিম্বল নিয়ে কাজ করতে বলতে পারেন অথবা আপনিই হয়তো গ্রাফিক কিংবা সিম্বল নিয়ে কাজ করতে চাইছেন। সেক্ষেত্রে একটি ফন্টকে অল্প কিছুটা কাষ্টমাইজ করে ব্যবহার করতে পারেন। শুধুমাত্র যথাযথ ফন্ট এবং কালার ব্যবহারে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারেন, এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হতে পারে দুটি জায়ান্ট সাইট ফেসবুক এবং গুগল।

৭. ভেবেচিন্তে ট্যাগলাইন ব্যবহারঃ

লোগোতে ট্যাগলাইন এর ব্যবহার নিঃসন্দেহে একটি ভাল অনুশীলন। তবে তার সাথে লোগোর এমন একটি ভার্সন তৈরী করুন যাতে কোন ট্যাগলাইন থাকবেনা। কারণ লোগোটি যখন কোন সোসিয়াল মিডিয়া সাইটে ব্যবহার করা হবে তখন সেটা খুব ছোট থাম্বনেইল আকারে ব্যবহৃত হবে, সেটাতে ট্যাগলাইন ব্যবহার করা হলে সেটা দেখতে এত ছোট হবে যে ট্যাগলাইন টা পড়া কষ্টকর হয়ে যাবে, তাছাড়া মূল্যবান জায়গারও অপচয় হয়। সেজন্য আপনার তৈরী লোগোর আর একটি ভার্সন(ট্যাগলাইন ব্যতীত) তৈরী থাকা চাই।

৮। সাকসেসফুল ব্র্যান্ড লোগোগুলো দেখুনঃ

সাকসেসফুল ব্র্যান্ড এর লোগোগুলো লক্ষ্য করে দেখুন, দেখতে খুবই সিম্পল মনে হলেও লোগোগুলো অনেক অর্থ বহন করে। লোগো ডিজাইনে আপনার পথচলা যদি নতুন হয় তবে আমার পরামর্শ থাকবে সাকসেসফুল এবং আনসাকসেসফুল ব্র্যান্ড লোগোগুলো দেখুন, ষ্টাডি করুন। অনেক কিছুই শিখতে পারবেন।

৯. অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দিনঃ

নিজে নিজে অনুশীলন করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু মাঝে মাঝে কাজগুলো অন্যদেরকেও আপনার কাজ দেখান, মতামত চান। যদিও প্রথম প্রথম এটা খুব পেইনফুল টাস্ক মনে হবে, তবে অনেক সময় ভালো কিছু সাজেশন পেলে পেতেও পারেন।
নিজের অহম কে দমিয়ে রাখুন। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দিন, আবার তাদের কাজগুলোও দেখুন। অন্যরা যে কাজ করছে তা দেখলে হয়তো বর্তমান ফ্যাশন/ ট্রেনজ সম্পর্কে ধারণা পাবেন। ফ্রিল্যান্স কাজের ক্ষেত্রে এটা অনেক বেশি প্রয়োজন। ডিজাইনারদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ুন, তাদের গ্রুপে যোগ দিন, যোগাযোগ রাখুন; সফলতা আপনার দরজায় কড়া নাড়বে।

১০. ডিজাইন করার পর নিজেকে প্রশ্ন করুনঃ

• আমার ডিজাইনটি কি কাঙ্খিত ব্র্যান্ড কে রিপ্রেসেন্ট করতে পারছে?
• লোগোটিকে সাদাকালো করা হলেও কি ভাল লাগবে?
• বিভিন্ন সোসিয়াল মিডিয়া সাইটের থাম্বনেইলে লোগোটিকে কি ভাল দেখাবে?
• সত্যিই কি লোগোটিকে ভাল এবং এপ্রোপ্রিয়েট মনে হচ্ছে?
• যদি কোন অপরিচিত লোক ৫ সেকেন্ডের জন্যে লোগোটিকে দেখে তবে সে ১-২মিনিট পরও কি লোগোর প্রতিটা এলিমেন্ট বর্ণনা করতে পারবে?

উপরের প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যা হয় তবে, “কংগ্র্যাচুলেশন”। ব্র্যান্ডের বা ইভেন্টের জন্যে পারফেক্ট লোগোটিই আপনি তৈরী করেছেন।

লোগো ডিজাইনের প্রাথমিক ও গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলো যতটুকু সম্ভব সহজ করে বোঝানোর সেটাই চেষ্টা করেছি। আশা করি, লোগো ডিজাইনিং এ ধাপগুলো অনুসরন করে সফলতার দিকে আরো একধাপ সামনে এগিয়ে যাবেন।

নতুন কিছু শিখে থাকলে শেয়ার করে বন্ধুদেরকে জানিয়ে দেয়ার অনুরোধ রইলো।