লোগো ডিজাইনে দশটি কার্যকর টিপস
লোগো ডিজাইনে দশটি কার্যকর টিপসঃ (২য় পর্ব)
লোগো!!! কোন ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্টানের একটি গুরূত্বপূর্ণ পার্ট।
সেই লোগো ডিজাইন এর প্রাথমিক এবং কার্যকর পাচটি টিপস নিয়েই প্রথম পর্ব
আলোচনা করেছিলাম, আজ বাকি পাচটি টিপস নিয়ে আলোচনা করব। যারা প্রথম পার্টটি
মিস করেছেন তাদের জন্য প্রথম পার্টের লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/photo.php?fbid=409013909210410&set=a.279753568803112.56782.277940875651048&type=1&relevant_count=1
আশা করি পরামর্শগুলো লোগো ডিজাইন ক্যারিয়ারে আপনাদের সহায়ক হবে।
৬। ফন্টের ব্যবহারে সতর্ক হোনঃ
মাঝে মাঝে ক্লাইন্ট আপনাকে ইউনিক শেপ কিংবা সিম্বল নিয়ে কাজ করতে বলতে
পারেন অথবা আপনিই হয়তো গ্রাফিক কিংবা সিম্বল নিয়ে কাজ করতে চাইছেন।
সেক্ষেত্রে একটি ফন্টকে অল্প কিছুটা কাষ্টমাইজ করে ব্যবহার করতে পারেন।
শুধুমাত্র যথাযথ ফন্ট এবং কালার ব্যবহারে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারেন, এর
সবচেয়ে বড় উদাহরণ হতে পারে দুটি জায়ান্ট সাইট ফেসবুক এবং গুগল।
৭. ভেবেচিন্তে ট্যাগলাইন ব্যবহারঃ
লোগোতে ট্যাগলাইন এর ব্যবহার নিঃসন্দেহে একটি ভাল অনুশীলন। তবে তার সাথে
লোগোর এমন একটি ভার্সন তৈরী করুন যাতে কোন ট্যাগলাইন থাকবেনা। কারণ লোগোটি
যখন কোন সোসিয়াল মিডিয়া সাইটে ব্যবহার করা হবে তখন সেটা খুব ছোট থাম্বনেইল
আকারে ব্যবহৃত হবে, সেটাতে ট্যাগলাইন ব্যবহার করা হলে সেটা দেখতে এত ছোট
হবে যে ট্যাগলাইন টা পড়া কষ্টকর হয়ে যাবে, তাছাড়া মূল্যবান জায়গারও অপচয়
হয়। সেজন্য আপনার তৈরী লোগোর আর একটি ভার্সন(ট্যাগলাইন ব্যতীত) তৈরী থাকা
চাই।
৮। সাকসেসফুল ব্র্যান্ড লোগোগুলো দেখুনঃ
সাকসেসফুল ব্র্যান্ড এর লোগোগুলো লক্ষ্য করে দেখুন, দেখতে খুবই সিম্পল মনে
হলেও লোগোগুলো অনেক অর্থ বহন করে। লোগো ডিজাইনে আপনার পথচলা যদি নতুন হয়
তবে আমার পরামর্শ থাকবে সাকসেসফুল এবং আনসাকসেসফুল ব্র্যান্ড লোগোগুলো
দেখুন, ষ্টাডি করুন। অনেক কিছুই শিখতে পারবেন।
৯. অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দিনঃ
নিজে নিজে অনুশীলন করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু মাঝে মাঝে কাজগুলো
অন্যদেরকেও আপনার কাজ দেখান, মতামত চান। যদিও প্রথম প্রথম এটা খুব পেইনফুল
টাস্ক মনে হবে, তবে অনেক সময় ভালো কিছু সাজেশন পেলে পেতেও পারেন।
নিজের অহম কে দমিয়ে রাখুন। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দিন, আবার তাদের
কাজগুলোও দেখুন। অন্যরা যে কাজ করছে তা দেখলে হয়তো বর্তমান ফ্যাশন/ ট্রেনজ
সম্পর্কে ধারণা পাবেন। ফ্রিল্যান্স কাজের ক্ষেত্রে এটা অনেক বেশি প্রয়োজন।
ডিজাইনারদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ুন, তাদের গ্রুপে যোগ দিন, যোগাযোগ রাখুন;
সফলতা আপনার দরজায় কড়া নাড়বে।
১০. ডিজাইন করার পর নিজেকে প্রশ্ন করুনঃ
• আমার ডিজাইনটি কি কাঙ্খিত ব্র্যান্ড কে রিপ্রেসেন্ট করতে পারছে?
• লোগোটিকে সাদাকালো করা হলেও কি ভাল লাগবে?
• বিভিন্ন সোসিয়াল মিডিয়া সাইটের থাম্বনেইলে লোগোটিকে কি ভাল দেখাবে?
• সত্যিই কি লোগোটিকে ভাল এবং এপ্রোপ্রিয়েট মনে হচ্ছে?
• যদি কোন অপরিচিত লোক ৫ সেকেন্ডের জন্যে লোগোটিকে দেখে তবে সে ১-২মিনিট পরও কি লোগোর প্রতিটা এলিমেন্ট বর্ণনা করতে পারবে?
উপরের প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যা হয় তবে, “কংগ্র্যাচুলেশন”।
ব্র্যান্ডের বা ইভেন্টের জন্যে পারফেক্ট লোগোটিই আপনি তৈরী করেছেন।
লোগো ডিজাইনের প্রাথমিক ও গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলো যতটুকু সম্ভব সহজ করে
বোঝানোর সেটাই চেষ্টা করেছি। আশা করি, লোগো ডিজাইনিং এ ধাপগুলো অনুসরন করে
সফলতার দিকে আরো একধাপ সামনে এগিয়ে যাবেন।
নতুন কিছু শিখে থাকলে শেয়ার করে বন্ধুদেরকে জানিয়ে দেয়ার অনুরোধ রইলো।
No comments:
Post a Comment